কোচিং না করে বুয়েটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া কতটুকু সম্ভবঃ
- ধরা যাক, একটা বিল্ডিং বানাতে ১০ জন মানুষের ১০০দিন লাগে। আমি যদি ১০ x ১০০ = ১০০০ মানুষ দিয়ে বলি, ১ দিনে আমাকে বিল্ডিঙটি বানিয়ে দেন, তা কি সম্ভব?
- আমাদের বেশিরভাগ অভিভাবকের ধারণা, সম্ভব। সারা বছর পড়াশোনা নাই, এডমিশনের সিজনে এসে ২০হাজার টাকা কোচিং এ ঢেলে মনে করি, ঠেকায় কে? উপরে আল্লাহ, নিচে কোচিং সেন্টার। চান্স না পেয়ে যাবে কোথায়?
- কেউ কেউ আবার কোচিং এর পাশাপাশি টিচার বাড়িতে ডেকে নিবিড় পরিচর্যা নিতে চায়। আমি বলছি না বিষয়টা খারাপ। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, প্রথম সারির কোন কোচিং সেন্টারের টিচার বাসায় গেলে পার লেকচার ২৫০০ – ৩০০০ টাকা নেয়। মাসে খরচ পড়ে ৩০০০০-৩৬০০০ টাকা! এক সাবজেক্ট। একটুও বাড়িয়ে বলছি না।
- ১ মাসে ১২ লেকচারে যদি একটা পেপার (১ম ও ২য়) শেষ করে, প্রত্যেক লেকচারে ২-৩ চ্যাপ্টার করে শেষ করতে হয়। এসময়ে নতুন জিনিস তো দূরের কথা, পুরান জিনিসও ডিপলি পড়ানো পসিবল হয় না। একাডেমিকে হয়তো ১ চ্যাপ্টারই তিনি ২-৩ লেকচারে পড়ান। কিছু পোলাপাইন আবার শর্টকাট (!) এর জন্য পাগল। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, পরীক্ষার হলে এই শর্টকাট মনে থাকে না। গ্যারান্টিড।
- আর খরচের ব্যাপারটা? এমনি সময়ে অনেক অভিভাবক সামর্থ থাকা সত্ত্বেও মাসে ১০০০০ টাকা দিতেই মাছের বাজারের মতো দরাদরি করেন। এডমিশন সিজনের ৩০-৪০হাজার গায়ে লাগে না!
মূল লেখা: শিশির ভাই
- তাই বলি কী, ছেলেমেয়েগুলিকে কুরবানির গরু-খাশী বানাবেন না। কেবল ঈদের আগে ইঞ্জেকশন, ভুষি আর আর ফুড সাপ্লিমেন্ট না দিয়ে সারাবছর একটু ভালো মানের ঘাস-লতাপাতা খেতে দিন।
No comments:
Write comments